Header Ads

Header ADS

আল-কোরআনের সাথে প্রতিদিন {সুরা আল-আহকাফ-৪৬}

 আল-কোরআনের সাথে প্রতিদিন

قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقُوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ اَمۡ لَہُمۡ شِرۡکٌ فِی السَّمٰوٰتِ ؕ اِیۡتُوۡنِیۡ بِکِتٰبٍ مِّنۡ قَبۡلِ ہٰذَاۤ اَوۡ اَثٰرَۃٍ مِّنۡ عِلۡمٍ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۴﴾
Say [O Muhammad], "Have you considered who you call upon besides Allah? Show me what they have made of the world; Or did they participate in the creation of heaven? A scripture [revealed] in front of him may be a [remaining] trace of wisdom if you are truthful."
বলুন, আমাকে খবর দিন, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক, তারা আমাকে দেখাও তারা পৃথিবীতে কী সৃষ্টি করেছে? অথবা আসমানসমূহে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমার কাছে পূর্ববর্তী কোন কিতাব বা প্রচলিত জ্ঞান নিয়ে আসো। সুরা আল-আহকাফ-৪৬ [১] এ আয়াতে মুশরেকদের শির্ক এর দাবি বাতিল করার জন্য তাদের দাবীর সপক্ষে দলিল চাওয়া হয়েছে। কেননা, সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যতীত কোন দাবি গ্ৰহণীয় হয় না। দলিলের যত প্রকার রয়েছে, সবগুলো আয়াতে উল্লেখ করে প্রমাণ করা হয়েছে যে, মুশরেকদের দাবির পক্ষে কোন দলিল নেই। তাই এহেন দলিলবিহীন দাবিতে অটল থাকা নিরেট পথভ্ৰষ্টতা। আয়াতে দলিলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্ৰথম: যুক্তিভিত্তিক দলিল। এর খণ্ডন বলা হয়েছে اِرُوْنِىْ مَاذَاخَلَقُوْامِنَ الْاَرْضِاَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِى السَّمٰوٰتِ ““আমাকে দেখাও তারা পৃথিবীতে কি সৃষ্টি করেছে নাকি আকাশে তাদের কোন অংশ আছে?” দ্বিতীয় প্রকার ঐতিহাসিক দলিল। বলা বাহুল্য, আল্লাহ সম্পর্কে ঐতিহাসিক দলিলই গ্রহণ করা যেতে পারে; যা স্বয়ং আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। যেমন তাওরাত, বাইবেল; কোরান ইত্যাদি বই বা আল্লাহর মনোনীত নবী-রাসূলদের বাণী এই দুই প্রকারের মধ্যে প্রথম প্রকারের খণ্ডনে বলা হয়েছে اِيْتُوْفِى بِكِتٰبٍ مِّنْ قِبْلِ هٰذَآ

অর্থাৎ, যদি আপনার কাছে মূর্তি পূজার কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে এমন কোনো আসমানী কিতাব পেশ করুন যেখানে মূর্তি পূজা করা অনুমোদিত। এরপর দ্বিতীয় প্রকারের ঐতিহাসিক প্রমাণাদি আহ্বান করে বলা হয়,, اَوْاَثٰرَةٍمِّنْ عِلْمً অর্থাৎ কিতাব আনতে না পারলে কমপক্ষে রাসূলগণের পরম্পরাগত কোন উক্তি পেশ কর।
তাও পেশ করতে না পারলে তোমাদের কথা ও কাজ পথ ভ্ৰষ্টতা বৈ কিছুই নয়।
এর পরবর্তী আয়াতে তাদের শির্কের তৃতীয় প্রকার দলীল পেশ করে তা খণ্ডন করা হয়েছে। কারণ, তারা হয়ত বলতে পারে যে, তাদেরকে আমরা আল্লাহর শরীক এজন্যই সাব্যস্ত করি যে, তারা আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে আমাদের কোন উপকার সাধন কিংবা অপকার থেকে আমাদের বাঁচাতে পারবে। তাদের সে দলিল পেশের সম্ভাবনাকে নাকচ করে বলা হয়েছে যে, তারা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে আহবান করছে তারা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের আহবানে সাড়া দিতে পারবে না।
সুতরাং তাদের শির্কের সপক্ষে কোন যুক্তি বা দলিলই অবশিষ্ট রইল না। [দেখুন, ইবনে কাসীর]

No comments

Theme images by Barcin. Powered by Blogger.