দাম্পত্ত জীবন {স্বামী স্ত্রী এক সাথে জান্নাতে যাবে}
স্বামী স্ত্রী এক সাথে জান্নাতে
যাবে
সম্পর্কে প্রথম ভিত্তি হলো স্বামী
স্ত্রী,এবং শেষ সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী।
কিন্তু আমাদের সমাজে স্বামী থেকে বেশী,তার স্ত্রীর উপর অধিকার থাকে তার বাবা মার।স্বামী থেকে বেশী তার বোনেরা অধীকার দেখায়।স্বামী থেকে বেশী তার আত্মীয়-স্বজন অধীকার দেখায়।সত্য মিথ্যা অভিযোগ করে,স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টী করে।কোখনো স্ত্রীকে স্বামীর বিরুদ্ধে বানায়।তাদের মধ্যে ঝগড়া করিয়ে অতপর খুশী হয়।
হাদীসে আছে নবী (স)কে প্রশ্ন করা হলো আপনি কাকে বেশী ভালোবাসেন,তিনি বোললেন আমার স্ত্রীকে।সে বললো পুরুষদের মধ্যে কাকে,নবী(স)বললো আবূ বকর(রা)কে,আমার নবী(স) আপনাদের জন্য একটা মেসেজ দিয়েছেন দাম্পত্য জীবন কিভাবে অতিবাহিত করতে হয়।ভালোবাসা দেখানো উদ্দেশ্য ছিলো না,মেসেজ দেওয়া উদ্দেশ্য ছিলো।
আম্মা আয়েশা(রা)অল্প বয়সের ছিলেন তাকে আটা মিক্স করে দিতেন।যখন তিনি আটা মিক্স করা শিখে গেলেন তখন ছেরে দিলেন।অতপর তাকে নিকটে বসিয়ে খাওয়ায়ে দিতেন।আম্মা আয়েশা(রা)বড় বড় গোশতের টুকরা রান্না করতো,গোশতের টুকরা উঠিয়ে দুই চার জাগা থেকে খেতেন তারপর রেখে দিতেন,সম্পর্ন খেতে পারতেন না।আল্লা্হর নবী(স)সেটাকে উঠাতেন হযরত আয়েশা(রা)কে দেখিয়ে,যেখানে তিনি কামর দিয়েছেন সেখানে কামর দিয়ে খেতেন,বর্তমান এমন কেও কি আছে।
হযরত আয়েশা(রা) যেখানে ঠোট লাগিয়ে পানি পান করতে আল্লা্হর নবী(স)তাকে দেখিয়ে সেখানে ঠোট লাগিয়ে পানি পান করতেন।এটা আমাদের শেখানোর জন্য,যাতে আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
ভাইয়েরা আমার আপনারা স্ত্রীকে ভালবাসুন,আমার নবী(স) ঘড়ে ঝাড়ু দিতেন নিজের কাপর নিজে ধুতেন এটা আমার নবী(স)এর জীবন ব্যাবস্থা।কোনো জিনিস এলো মেলো পরে থাকলে স্ত্রীকে বকাঝকা দিতেন না নিজে উঠিয়ে নিতেন।পরিবারের সাথে মিলে সমস্ত কাজ করতেন।
এটা আমার নবির সুন্দর জীবন ভাই বোনেরা আমরা ভুলে গিয়েছি,স্ত্রীর উপর স্বামীর হোক সবার প্রথমে,কিছু মেয়েরা খামখেয়ালী কাজ করে বিয়ের পরেও বাবা মার কথা মত চলে,বিয়ের পর সব থেকে বড় হোক স্বামীর,মা বাবা তারপরে,ভাই বোন তার পরে,কিন্তু এই রকম খামখেয়ালি দেখা যায়।বিয়ের পর বাবা মা সন্তানকে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করে।এই কারনে নিজের মেয়ের সংসার ধংস করে দেয়।
আমার নবিকে জিজ্ঞাসা করা হলো,স্ত্রীর উপর কার হক বেশী রয়েছে,তিনি বললেন তার স্বামীর।একজন মহিলা এসে বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ(স)আমার বিয়ে হয়েছে,আমার উপর আমর স্বামীর কি হক রয়েছে,তিনি বললেন তোমার স্বামীর তত র য়েছে,তার মধ্যে পুজ জমা হয়েছে,তুমি যদি তোমার জিহ্ববা দ্বারা মুছে দাও তাও তোমার স্বামীর হক আদায় হয়নি।
হে আমর প্রিয় বোনেরা আপনাদের বলি আপনারা আপনার স্বামীর হোক আদায় করুন তাহলে আপনাদের জন্য রয়েছে কল্যান।আর ভাই দের বলবো আপনারা আপনাদের স্ত্রীর সাথে উত্তম আচরন করুন তাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলুন,কাজের ফাকে তাদের সময় দিন,দেখবেন আপনাদের সংসারে সুখ আসবে ইনশাআল্লাহ,আপনাদের দাম্পত্ত জীবন সুখের হলে আপনারা জান্নাতেও একসাথে থাকতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনাদের আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত দান করুন।
আমিন।
No comments